পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানঃ প্রশ্ন এবং উত্তর

Padma Bridge

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানঃ পদ্মা সেতু, নামটি মনে আসলেই উঠে আসে মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক অভূতপূর্ব সাফল্য এবং একই সাথে গৌরবের নাম এই পদ্মা সেতু যা মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সহজ করে তুলেছে। এশিয়ার এই দীর্ঘতম সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। 

বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার সাথে বহু জেলার সংযোগ স্থাপিত হয়েছে শুধু এই সেতুর মাধ্যমে এবং মজার বিষয় হচ্ছে আগের থেকে কয়েকগুন কম সময়ে মানুষ এখন ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। আপনি যদি পদ্মা সেতু সম্পর্কে সকল দরকারি তথ্য গুলো জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় রয়েছেন কারণ এই লেখাটিতে আমরা বাংলাদেশের এই গৌরবময় স্থাপত্য সম্পর্কে প্রায় সবকিছুই উপস্থাপন করতে চলেছি। আশা করছি এখান থেকেই আপনি আশানুরূপ জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন পদ্মা সেতু সম্পর্কে।  

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে এটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু কারণ নির্মাণের পরই এটি যমুনা সেতুর রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে। পূর্বে বঙ্গবন্ধু সেতু বা যমুনা সেতুই ছিলো বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। এমনকি শুধু বাংলাদেশেরই না, এটি বিশ্বের বিভিন্ন রেকর্ড ভাঙতেও সক্ষম হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় ভুলে যাননি যে আগে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের ঢাকায় আসতে হত লঞ্চে করে এবং এটি ছিলো বেশ সময় সাপেক্ষ। এই দীর্ঘ পথ এখন মাত্র কয়েক মিনিটেই পাড়ি দেয়া সম্ভব।  

 

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাথমিক ধারনাটি সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে আসলেও এটির বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ২০০১ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং দীর্ঘ ৮ বছর লাগে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে। অবশেষে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে অবশেষে সম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৫ জুন সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

 

পদ্মা সেতুর এক প্রান্তে মুন্সীগঞ্জ এবং অন্য প্রান্তে রয়েছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের জাজিরা। যদি আপনি ঢাকা থেকে চিন্তা করেন তাহলে এপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা রয়েছে এবং অপর প্রান্তে রয়েছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। সুবিধাল এই সেতুটি এই তিন জেলাকে একত্রিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ এবং উত্তরাঞ্চলকে মিলিত করেছে। 

পদ্মা সেতু নির্মাণে কি ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিলো?

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রি-কাস্ট সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যেটা ছিলো বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং নির্মাণ কৌশল। এই পদ্ধতির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি সেতু ভারবহনের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং সেতুটিকে আরও স্থিতিশীল করে তোলে। তবে পদ্মার মত এত স্রোতের একটি নদীর গভীরে পিলার স্থাপন করা সহজসাধ্য ছিলোনা। বিশেষ করে পাইলিং এর কাজটি ছিলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আপনারা হয়তো জানেন না যে পদ্মা সেতুর পাইলিং বিশ্বের গভীরতম পাইলিং হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে কারণ এর গভীরতা প্রায় ১২২ মিটার। 

পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য জাপান, চায়না সহ বেশ কিছু শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছিলো। তবে সবশেষে কাজটি দেয়া হয় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (MBEC) কে। 

পদ্মা সেতুর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর উপরে এবং একাধিক লেনের রাস্তা রয়েছে। সেতুর উপরের অংশের সর্বমোট চার লেনের সড়কপথ রয়েছে। এছাড়া নিচের অংশে রয়েছে রেললাইন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে সেতুটির স্থিতিশীলতা কতখানি কারণ একইসাথে এর উপরে গাড়ি চলবে এবং নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে। 

আরও দেখুনঃ স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি? বিস্তারিত দেখুন

পদ্মা সেতু সম্পর্কে আরও তথ্য

পদ্মা সেতু প্রকল্প শুরু হওয়া থেকেই মানুষের এটি সম্পর্কে নানা কৌতূহল ছিলো। উদ্বোধনের দিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিলো কারণ সবাই অত্যন্ত গর্বের সাথে দেখতে এসেছিলো তাদের দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নকে। এই সেতুতে আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের অবদান রয়েছে কারণ দেশের টাকা দিয়েই তৈরি হয়েছে এটি। তাই দেশের প্রতিটি মানুষেরই পদ্মা সেতুর সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে জেনে রাখা উচিৎ। তাছাড়া বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায়ও এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন আসে। তাই যে প্রয়োজনেই হোক পদ্মা সেতু সম্পর্কে এমন কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য আছে যেগুলো জেনে রাখা প্রয়োজন এবং জানতেও আপনার ভালো লাগবে।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?

সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। সড়কপথ সহ এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯.৮ কিলোমিটার। 

বিশ্বের বৃহত্তম সেতুর মধ্যে পদ্মা সেতুর স্থান কত?

বিশ্বে যতগুলো বড় বড় সেতু আছে তাঁর মধ্যে আমাদের পদ্মা সেতু হচ্ছে ১২২ তম। আপনি জেনে অবাক হবেন যে সুইডেনের অল্যানড ব্রিজের থেকেও পদ্মা সেতু দৈর্ঘ্যে বেশি। প্রায় ১ যুগ আগেই চীনে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় সেতু এবং এর নাম ডানইয়াং-কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ। সবথেকে বড় এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০০ সালে এবং শেষ হয় ২০১১ সালে। একই বছর ব্রিজটি ব্যবহারের জন্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখনো পর্যন্ত চীনের এই সেতুটি দৈর্ঘ্যের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ মিটার। 

See also  ইনায়া নামের অর্থ কি? (ইসলামিক ও আরবি অর্থ জেনে নিন)

পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো:

প্রশ্ন ১: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।

প্রশ্ন ২: পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুর প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

প্রশ্ন ৩: পদ্মা সেতু নির্মাণে কত টাকা ব্যয় হয়েছে?

  • উত্তর: পদ্মা সেতু নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

প্রশ্ন ৪: পদ্মা সেতু কোন নদীর উপর নির্মিত?

  • উত্তর: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত।

প্রশ্ন ৫: পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ কখন শুরু হয়েছিল?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।

প্রশ্ন ৬: পদ্মা সেতু কবে উদ্বোধন করা হয়?

  • উত্তর: পদ্মা সেতু ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়।

প্রশ্ন ৭: পদ্মা সেতুর মাধ্যমে কোন কোন এলাকা সংযুক্ত হয়েছে?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা সংযুক্ত হয়েছে।

প্রশ্ন ৮: পদ্মা সেতুতে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুতে মোটরগাড়ি এবং ট্রেন চলাচল করতে পারে।

প্রশ্ন ৯: পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন কোন দেশের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে?

  • উত্তর: পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, এবং চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (CMBEC) সেতুটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।

প্রশ্ন ১০: পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেললাইন রয়েছে কি?

  • উত্তর: হ্যাঁ, পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেললাইন রয়েছে যা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন।

পদ্মা সেতুর গুরুত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১১: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • উত্তর: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এটি ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, এবং যানবাহন চলাচলে সময় ও খরচ কমাবে।

প্রশ্ন ১২: পদ্মা সেতুতে কতটি পিলার রয়েছে?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি পিলার রয়েছে।

প্রশ্ন ১৩: পদ্মা সেতুর প্রকল্প প্রধান কে ছিলেন?

  • উত্তর: পদ্মা সেতুর প্রকল্প প্রধান ছিলেন প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম।

প্রশ্ন ১৪: পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন চ্যালেঞ্জগুলো ছিল?

  • উত্তর: পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত, নরম মাটি এবং গভীর পানির কারণে নির্মাণ কাজ চ্যালেঞ্জপূর্ণ ছিল।

padma setu

পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ কত?

পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩.৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে নির্মাণের সমস্ত খরচই বংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে। সবথেকে গর্বের বিষয় হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া কোন বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়নি এই প্রকল্পের জন্য। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ঋণ নেয়া হয় যেটা চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩৫ বছরে সুদসহ দাঁড়াবে ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

অন্যান্য ব্যয়

উপরে আমরা যে খরচটির কথা উল্লেখ করেছি সেটা শুধুমাত্র সেতু নির্মাণের ব্যয়। এছাড়াও টোল প্লাজা নির্মাণ সহ অন্যান্য খাতে আরও কিছু খরচ আছে। টোল প্লাজা এবং এসএ-২ সহ ১২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০৭ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে। এর সাথে রয়েছে পুনর্বাসন ব্যয় যেখানে খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। 

 

এছাড়া আছে পরিবেশ রক্ষা ব্যয়, এখানকার খরচ ১ হাজার ২৯০ দশমিক ৩ কোটি টাকা। এরপর কনসালটেন্সি এর জন্য ৬ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৭ কোটি টাকা এবং পরিবহন, বেতন, সিডি ভ্যাট এবং ট্যাক্স, ফিজিক্যাল এবং প্রাইস কন্টিনজেন্সি, ইন্টারেস্ট ইত্যাদির জন্য ১ হাজার ৭৩১ দশমিক ১৭ টাকা ব্যয় হয়। 

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর

১.) পদ্মা সেতুর রিয়েল বা মূল নাম কি?
উত্তর: পদ্মা সেতুর রিয়েল বা মূল নাম হলো: পদ্মা বহুমুখী সেতু।
২.) পদ্মা সেতু তৈরি প্রকল্পটির নাম কি?
উত্তর: প্রকল্পের নাম হলো বহুমুখী প্রকল্প (প্রথমে পদ্মা হবে)।
৩.) পদ্মা সেতু নির্মাণ কারি প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর: China Major Bridge Engineering Construction Company Limited.
৪.) পদ্মা সেতু নির্মাণে নকশা বা ডিজাইন তৈরি করেন কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তর: পদ্মা সেতু নির্মাণে নকশা বা ডিজাইন তৈরি করেন AECOM কোম্পানি
৫.) পদ্মা সেতু প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় কবে?
উত্তর: পদ্মা সেতু প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় সাত ডিসেম্বর দুই হাজার চৌদ্দ সালে।
৬.) পদ্মা সেতু প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুরক্ষা করবেন কে?
উত্তর: পদ্মা সাথে প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণ করবেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
৭.) পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ গুলোর নাম কি কি?
উত্তর: পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ গুলো হলো কংক্রিট এবং স্টিল।
৮.) পদ্মা সেতু প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় কত সালে?
উত্তর: পদ্মা সেতু প্রকল্পটির কাজের শেষ হয় ২৩ জুন ২০২২ সালে।
৯.) পদ্মা সেতু প্রকল্পটি কত সালে উদ্বোধন করা হয়?
উত্তর: পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ২৫ জুন ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয় (অর্থাৎ দুইদিন পর)।
১০.) পদ্মা সেতু প্রকল্পটি কে উদ্বোধন করেন?
উত্তর: পদ্মা সেতু প্রকল্পটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
১১.) কত তারিখ হতে এই সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু করা হয়?
উত্তর: ২৬ জুন হতে এই সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবহার শুরু হয়।
১২.) কত সালে এই সেতুটি তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ সরকার চুক্তিবদ্ধ হন?
উত্তর: সতেরই জুন ২০১৪ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতুটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার চায়নার রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এবং নির্মাণ কাজ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
১৩.) পদ্মা সেতু কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: এই বৃহৎ সেতুটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ নদী পদ্মা নদীর উপরে অবস্থিত।
১৪.) পদ্মা সেতুর মোট কত কিলোমিটার, কত মাইল এবং কত ফুট
উত্তর: পদ্মা সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬. ১৫ কিলোমিটার এবং ৩.৮২ মাইল এবং ২০ হাজার ১৮০ ফুট।
১৫.) পদ্মা সেতুর মোট প্রস্থ কত মিটার (ফুটে তা প্রকাশ কর)
উত্তর: পদ্মা সেতুর মোট প্রশ্ন হচ্ছে ২২.৫ মিটার, ফুটে প্রকাশ করলে তারা ৭৪ ফুট।
১৬.) পদ্মা সেতুর ফলে বাংলাদেশের মোট কয়টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হয়েছে?
উত্তর: দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৯ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হয়েছে।
১৭.) পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ত কত কিলোমিটার?
উত্তর: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ত 1.18 কিলোমিটার।
১৮.) পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ত পিলার আছে কতটি?
উত্তর: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ত পিলার আছে ৮১ টি।
১৯.) পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত স্প্যান সংখ্যা কতটি?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত স্প্যান সংখ্যা মোট ৪১টি (একচল্লিশটি)
২০.) পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত স্প্যান সর্বপ্রথম কবে বসানো হয়?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত স্প্যান সর্বপ্রথম বসানো হয় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে।
২১.) পদ্মা সেতুর সর্বশেষ বা একচল্লিশ তম স্প্যান কবে বসানো হয়?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয় ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে।
২২.) পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বা একচল্লিশ তম স্প্যানটি কত নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছিল?
উত্তর: বারো এবং তেরো নম্বর পিলারের উপর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়েছিল।
২৩.) পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: প্রায় ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) মিটার।
২৪.) পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি কয়টার সময় বসানো হয়েছিল?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় দুপুর ১২.০২ মিনিটে
২৫.) পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি কত নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছিল?
উত্তর: পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি সাইত্রিশ এবং আটত্রিশ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছিল।
২৬.) পদ্মা সেতুর ওপার ভিত্তি করে তৈরি কৃত সরকারি ওয়েবসাইটের নাম কি?
উত্তর: http://padmabridge.gov.bd/
২৭.) পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত মোট ৪১টি স্প্যান বসাতে মোট কত দিন সময় লেগেছে?
উত্তর: দুই মাস দশ দিন দিন সময় লেগেছে।
পদ্মা সেতুর অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাধারণ জ্ঞান
২৮.) পদ্মার সাথে তার ব্যবহৃত প্রত্যেকটি স্প্যানের ওজন কত?
উত্তর: পদ্মার সাথে তার ব্যবহৃত প্রত্যেকটি স্প্যানের ওজন প্রায় ৩২০০ টন।
২৯.) পদ্মা নদীর পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা কত ফুট?
উত্তর: উচ্চতা প্রায় ষাট ফুট।
৩০.) পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা কত করা হয়েছিল?
উত্তর: ৩৮৩ (তিনশত তিরাশি) ফুট করা হয়েছিল।
৩১.) পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের জন্য পাইলিং কতটি করা হয়েছিল?
উত্তর: ৬ (ছয়টি)।
৩২.) পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত মোট পাইলিং সংখ্যা কতটি?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত মোট পাইলিং সংখ্যা: ৪১x৬ = ২৪৬টি।
৩৩.) পদ্মা সেতু তৈরিতে মোট পিলার সংখ্যা কতটি?
উত্তর: পদ্মা সেতু তৈরিতে মোট পিলার সংখ্যা ৪২টি (বিয়াল্লিশটি)।
৩৪.) পদ্মা সেতুতে কি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে?
উত্তর: গ্যাস, বিদ্যুৎ, অপটিক্যাল লাইনের পরিবহনসহ যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ সুবিধা।
৩৫.) পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রেলপথ কোথায় তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর: পদ্মা সেতুর নিচতলায় রেল যাতায়াতের জন্য রেল লাইন তৈরি করা হয়েছে।
৩৬.) বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু বা ব্রিজের নাম কি?
উত্তর: বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু বা ব্রিজের নাম হল পদ্মা সেতু।
৩৭.) পদ্মা সেতুতে কত মিটার গভীর নদীর উপর অবস্থিত?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে ১২০ মিটার মতান্তরে ৩৯০ ফুট গভীর নদীর উপর অবস্থিত।
৩৮.) পদ্মা সেতুটি কোন কোন জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে?
উত্তর: পদ্মা সেতুটি মুন্সীগঞ্জের সাথে শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর এই দুইটি জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।
৩৯.) পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক রেলওয়ে যাতায়াত শুরু হয় কবে?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক রেলওয়ে যাতায়াত শুরু হয় ৪ এপ্রিল ২০২৩ সালে।
৪০.) পদ্মা সেতুতে যাতায়াত করা প্রথম ট্রেনের চালকের নাম কি?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে যাতায়াত করা প্রথম ট্রেনের চালকের নাম মোঃ রবিউল ইসলাম।
৪১.) এই পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয় কত তারিখে?
উত্তর: বছরের ৪ এপ্রিল ২০২৩ ।
৪২.) এই ভাঙ্গা স্টেশন থেকে জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত ৩২ কিমি রেলপথে পরীক্ষামূলন ট্রেন চলে কত তারিখে?
উত্তর: ১ নভেম্বর ২০২২ বা ১/১১/২০২২।
৪৩.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নাম কি?
উত্তর: রেল সংযোগ প্রকল্পে: Padma Bridge Rail Link Project (PBRLP)।
৪৪.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর মোট অন্তর্ভুক্ত জেলা কয়টি?
উত্তর: মোট ৯টি (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর)
৪৫.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় কত তারিখে?
উত্তর: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ বা ২৭/০৪/২০১৬।
৪৬.): নতুন তৈরি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়
উত্তর: ৩ মে ২০১৬ বা ৩/০৫/২০১৬।
৪৭.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয় কত তারিখে?
উত্তর: ৮ আগস্ট ২০১৬ বা ৮/০৮/২০১৬।
৪৮.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর: ঠিকাদার: China Railway Engineering Corporation (CREC)
৪৯.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর তদারকি পরামর্শের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে চুক্তি হয়
উত্তর: ১ জানুয়ারি ২০১৭ বা ১/০১/২০১৭।
৫০.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়?
উত্তর: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ বা ২৭/০৪/২০১৮।
৫১.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (RDPP) একনেকে অনুমোদন পায়
উত্তর: ২২ মে ২০১৮ বা ২২/০৫/২০১৮।
৫২.) নতুন তৈরি সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের সময়সীমা-
উত্তর: ১ জানুয়ারি ২০১৬ – ৩০ জুন ২০২৪।
৫৩.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের খরচ কত হবে?
উত্তর: ৩৯,২৪,৬৭৯.৯৮ টাকা (এর মধ্যে চীনের ঋণ ২১,০৩,৬৬৯.৩৮ টাকা এবং সরকারি অর্থায়ন ১৮,২১,০১০.৬০ টাকা)
৫৪.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: রেল সংযোগ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য: ১৬৯ কিমি।
৫৫.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর GDP’র প্রবৃদ্ধিতে অবদান –
উত্তর: GDP’র প্রবৃদ্ধিতে অবদান: ১% (আনুমানিক)।
৫৬.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর কোন রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল রুটটি?
উত্তর: রেলওয়ের নেটওয়ার্ক যুক্ত: ট্রান্স-এশিয়ান।
৫৭.) কমলাপুর থেকে যশোর পর্যন্ত রুটে মোট কয়টি স্টেশন থাকবে?
উত্তর: ২০টি স্টেশন (এর মধ্যে ১৪টি স্টেশনই হবে নতুন। পুরোনো ৬টি স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হবে)
৫৮.) উত্তর দিন ঢাকার গেন্ডারিয়া বাদে সব স্টেশন এর আয়তন হবে-
উত্তর: ৪২৭ বর্গমিটারের (নোট: গেন্ডারিয়ার স্টেশনটি হবে ৫৪৫ বর্গমিটারের)।
৫৯.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ উড়াল রেলপথ মোট কত কি.মি?
উত্তর: রেলপথের মধ্যে ২৩.৩৮ কিমি উড়াল বা এলিভেটেড (দেশে এটিই হবে প্রথম উড়াল রেলপথ)
৬০.) নতুন তৈরি দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ কোনটি?
উত্তর: পদ্মা সেতু রেল (এটিই প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ)।
৬১.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ স্থানগুলো কি?
উত্তর: সংযোগ স্থানগুলো: লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর।
৬২.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর স্থানাঙ্ক কত?
উত্তর: পদ্মা সেতুর স্থানাঙ্ক: ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রী (উত্তর), ৯০.২৬২৩ ডিগ্রী (পূর্ব)
৬৩.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কত কি.মি?
উত্তর: ভায়াডাক্ট: ৩.১৮ কি.মি.।
৬৪.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার কতটি?
উত্তর: ভায়াডাক্ট পিলার: ৮১টি।
৬৫.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর স্প্যান সংখ্যা কতটি?
উত্তর: সেতুর স্প্যান সংখ্যা: ৪১টি।
৬৬.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর সর্বপ্রথম স্প্যানটি কবে বসানো হয়?
উত্তর: সর্ব প্রথম স্প্যানটি: সেপ্টেম্বর, ২০১৭ NWITH।
৬৭.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর সর্বশেষ বা ৪১তম স্প্যানটি কবে বসানো হয়?
উত্তর: সর্বশেষ স্প্যানটি: ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিশ্ব মানবাধিকার দিবস)।
৬৮.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর ৪১তম স্প্যানটি কত নং পিলারের উপর বসানো হয়?
উত্তর: ৪১তম স্প্যানটি: ১২ ও ১৩ নং পিলারের উপর।
৬৯.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: স্প্যানের দৈর্ঘ্য: ১৫০ মিটার।
৭০.) নতুন তৈরি পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বা ৪১তম স্প্যানটি কখন বসানো হয়?
উত্তর: ৪১ তম স্প্যান: ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২.০২ মিনিট।

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণঃ 

পদ্মা সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের একটি মাইলফলক। যাত্রা শুরু করার পর থেকে পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের মাত্রাকে আরও গতিশীল করেছে। মানুষ যতটা ভেবেছিলো তাঁর থেকেও বেশি উপকৃত হচ্ছে এই সেতুর দ্বারা। যদিও সেতুটি নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং যথেষ্ট শক্তভাবেই নির্মাণ করা হয়েছে তারপরও যদি এটিকে আরও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় তাহলে যুগ যুগ কধরে এটি একইভাবে দাড়িয়ে থাকবে পদ্মা নদীর বুকে।  সেতুটির কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা টিম রয়েছে যারা নিয়মিত সেতুটি পর্যবেক্ষণ করেন। 

See also  গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন গ্রেড তালিকা

শেষ কথা

আশা করছি পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে আমাদের এই লেখাটি আপনার জন্য যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের একটি অনন্য স্থাপনা যা যাতায়াত ব্যবস্থায় একটি বড় অবদান রেখেছে। পূর্বে উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এতটা সহজে এপার ওপার যাওয়া আসা করতে পারতো না, পদ্মা সেতুর বদৌলতেই তা সম্ভব হয়েছে। 

 

মাত্র কয়েক ঘণ্টায় মানুষ ঢাকা আসছে এবং ঢাকা থেকে নিজের গন্তব্যে যেতে পারছে। মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও বেশি উন্নত হবে শুধু এই পদ্মা সেতুর কারণে। আর দেশ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হলেই বাইরের দেশেও আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *