ফাইভার থেকে আয় করা সম্ভব। প্রথমে একটি ফাইভার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর বিভিন্ন কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। ফাইভার বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন। ফাইভার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুব সহজ। কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি একটি ফাইভার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
আর ফাইভারে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়? আপনি এখানে গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরও অনেক ধরণের কাজ পেতে পারেন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা জানাবো কিভাবে ফাইভার থেকে আয় করা যায়, কিভাবে ফাইভার অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন এবং ফাইভারে কি কি কাজ পাওয়া যায়। পাঠক হিসেবে ফাইভার থেকে আয়ের উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহী হলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
Fiverr কি?
Fiverr হলো একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা বিক্রি করতে পারেন এবং বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে পেতে পারেন। Fiverr সারা বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এটি মূলত ৫ ডলার থেকে শুরু হয়, তাই নামটি Fiverr।
পরিচিতি
Fiverr ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করতে পারেন। যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
কেন Fiverr?
- Fiverr ব্যবহার করা সহজ।
- বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়।
- পেমেন্ট সিস্টেম নিরাপদ।
- বাজারে উচ্চ প্রতিযোগিতা।
Fiverr আপনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যেখানে আপনি সহজেই কাজ খুঁজে পেতে পারেন এবং আপনার দক্ষতা বিক্রি করতে পারেন। আপনি যখন আপনার প্রোফাইল তৈরি করবেন, তখন আপনার কাজের উদাহরণ এবং রেটিং শেয়ার করতে পারেন।
Fiverr অ্যাকাউন্ট তৈরি
Fiverr হল একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। আপনার যদি বিশেষ কোনও দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সহজেই Fiverr থেকে আয় করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে একটি Fiverr অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। নিচে আমরা বিস্তারিতভাবে Fiverr অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রাথমিক ধাপ
Fiverr অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে প্রথমে আপনাকে Fiverr ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে উপরের ডানদিকে Join বোতামে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে সাইন আপ করুন। আপনি চাইলে ফেসবুক বা গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেও সাইন আপ করতে পারেন।
প্রোফাইল সেটআপ
সাইন আপ করার পর আপনাকে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রোফাইল সম্পূর্ণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার প্রথম প্রভাব তৈরি করবে। নিচে প্রোফাইল সেটআপের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ দেওয়া হল:
- প্রোফাইল ছবি: একটি পরিষ্কার ও প্রফেশনাল ছবি আপলোড করুন।
- ব্যবহারকারীর নাম: এমন একটি ব্যবহারকারীর নাম বেছে নিন যা আপনার কাজের সাথে মানানসই।
- বায়ো: আপনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ও তথ্যবহুল বিবরণ লিখুন। এখানে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করুন।
- দক্ষতা: আপনার দক্ষতার তালিকা তৈরি করুন। এটি ক্লায়েন্টদেরকে আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে ধারণা দেবে।
- শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা যোগ করুন।
অ্যাকাউন্ট তৈরি ও প্রোফাইল সেটআপ সম্পন্ন হলে, আপনি কাজের জন্য প্রস্তুত। আপনার প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় ও পেশাদার রাখুন। এতে ক্লায়েন্টদের আস্থা বাড়বে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
Fiverr-এ গিগ তৈরি
Fiverr-এ সফল হতে গিগ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সেবা বা পণ্যের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। সঠিক গিগ তৈরি করলে আপনি দ্রুত গ্রাহকের নজরে আসবেন। নিচে গিগ তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো।
গিগ কি?
গিগ হল একটি সেবা বা পণ্য যা আপনি Fiverr-এ অফার করেন। এটি আপনার কাজের বিবরণ, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় উল্লেখ করে। গিগ হল আপনার প্রোফাইলের হৃদয়, যা আপনার দক্ষতাকে তুলে ধরে।
সঠিক গিগ তৈরি
সঠিক গিগ তৈরি করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- টাইটেল: গিগের টাইটেল হতে হবে আকর্ষণীয় এবং স্পষ্ট। উদাহরণ: “আমি প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন করব।”
- ক্যাটাগরি এবং সাবক্যাটাগরি: সঠিক ক্যাটাগরি এবং সাবক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। এতে আপনার গিগ সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
- ডেস্ক্রিপশন: আপনার সেবার বিস্তারিত বিবরণ লিখুন। গ্রাহকদের সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন। উদাহরণ: “আমি আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একটি ইউনিক এবং প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন করব।”
- প্রাইসিং: বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করুন। উদাহরণ: বেসিক, স্ট্যান্ডার্ড, প্রিমিয়াম।
- ইমেজ এবং ভিডিও: আকর্ষণীয় ছবি এবং ভিডিও আপলোড করুন। এগুলো গিগের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সঠিক গিগ তৈরি করলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। গিগ তৈরির সময় সবসময় গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করুন।
কাজের তালিকা
Fiverr একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন। এখানে কাজের তালিকা দেখে আপনার জন্য উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করা সহজ। চলুন জেনে নিই Fiverr-এ কি কি কাজ পাওয়া যায় এবং কিভাবে উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করবেন।
জনপ্রিয় কাজ
Fiverr-এ অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। কিছু জনপ্রিয় কাজ হল:
- গ্রাফিক ডিজাইন: লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং।
- কন্টেন্ট রাইটিং: ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল রাইটিং, কপিরাইটিং।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স সাইট তৈরি।
- ভিডিও এডিটিং: ভিডিও এডিটিং, মোশন গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন।
উপযুক্ত কাজ নির্বাচন
Fiverr-এ কাজ নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন:
- আপনার দক্ষতা: যে কাজগুলোতে আপনি দক্ষ, সেই কাজগুলো নির্বাচন করুন।
- সময় ব্যবস্থাপনা: যে কাজগুলো আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন, সেগুলো বেছে নিন।
- দাম নির্ধারণ: প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কাজের মূল্য নির্ধারণ করুন।
- রেটিং এবং ফিডব্যাক: আপনার কাজের উপর ভালো রেটিং এবং ফিডব্যাক পাওয়ার চেষ্টা করুন।
Fiverr-এ কাজের তালিকা দেখে উপযুক্ত কাজ নির্বাচন করা সহজ। এই বিষয়গুলো মনে রেখে কাজ বেছে নিলে আপনি সফল হতে পারবেন।
কাজের জন্য আবেদন
Fiverr থেকে আয় করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল সঠিক কাজের জন্য আবেদন করা। এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হলে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এখানে আমরা দেখবো কিভাবে কাজের জন্য আবেদন করবেন এবং সফল হবার কিছু টিপস।
আবেদনের প্রক্রিয়া
প্রথমে, Fiverr অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। তারপর আপনার পছন্দমতো কাজ খুঁজে বের করুন। কাজের বিবরণ এবং প্রয়োজনীয়তাগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করুন।
একটি ভাল প্রোফাইল ছবি এবং বিস্তারিত বায়োগ্রাফি সহ অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ করুন। আপনার কাজের উদাহরণ এবং পোর্টফোলিও আপলোড করুন। এটি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করবে।
প্রস্তাবনা লিখন
কাজের জন্য আবেদন করার সময় প্রস্তাবনা লিখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রস্তাবনা লেখার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখুন:
- শিরোনাম: শিরোনামটি সংক্ষেপে এবং আকর্ষণীয় করুন। এটি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
- পরিচিতি: নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করুন। আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
- কাজের বিবরণ: কাজটির জন্য কেন আপনি সেরা প্রার্থী তা ব্যাখ্যা করুন। প্রাসঙ্গিক কাজের উদাহরণ দিন।
- সময় এবং মূল্য: কাজটি সম্পন্ন করতে কত সময় লাগবে এবং আপনার ফি কি হবে তা উল্লেখ করুন।
- উৎসাহ: কাজটি করার জন্য আপনার উত্সাহ এবং আগ্রহ প্রদর্শন করুন।
একটি সুসংগঠিত এবং পরিষ্কার প্রস্তাবনা আপনাকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।
ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ
Fiverr থেকে আয় করার জন্য ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারলে আপনি আপনার কাজের মান বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
সঠিক যোগাযোগ
ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করার সময় সঠিক ভাষা ব্যবহার করা জরুরি। আপনি যদি বুঝতে পারেন ক্লায়েন্ট কি চাইছেন, তাহলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করা সহজ হবে।
- প্রথমে, ক্লায়েন্টের মেসেজের জবাব দিন যত দ্রুত সম্ভব।
- দ্বিতীয়ত, ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
- তৃতীয়ত, সব সময় বিনয়ী এবং পেশাদারী ভাষা ব্যবহার করুন।
পরিষ্কার আলোচনা
ক্লায়েন্টদের সাথে পরিষ্কার আলোচনা করতে পারলে কাজের গুণগত মান উন্নত হয়। এটি আপনাকে আরও কাজ পেতে সাহায্য করবে।
- প্রথম, কাজের ধরন এবং সময়সীমা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে আলোচনা করুন।
- দ্বিতীয়, যেকোন প্রশ্ন থাকলে ক্লায়েন্টকে জিজ্ঞাসা করুন।
- তৃতীয়, কাজের আপডেট নিয়মিতভাবে ক্লায়েন্টকে জানান।
এভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিক এবং পরিষ্কার যোগাযোগ রাখতে পারলে Fiverr-এ আপনার সফলতা নিশ্চিত হবে।
কাজ সম্পন্ন এবং ডেলিভারি
Fiverr থেকে আয় করার জন্য কাজ সম্পন্ন এবং ডেলিভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধাপগুলি সফলভাবে সম্পন্ন করলে কাস্টমারদের সন্তুষ্টি ও রেটিং উভয়ই বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে আপনার প্রোফাইল ভিজিবিলিটি ও অর্ডারের সংখ্যা বাড়ে। নিচে কাজের মান এবং সময়মত ডেলিভারি সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কাজের মান
Fiverr-এ কাজের মান ধরে রাখা সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আপনার কাজের গুণমান কাস্টমারদের সন্তুষ্টি ও রিভিউয়ের উপর প্রভাব ফেলে। কাজের মান নিশ্চিত করতে:
- প্রয়োজনীয়তা ভালোভাবে বুঝুন: কাস্টমারের নির্দেশনা ও চাহিদা ভালোভাবে বুঝে নিন।
- মতামত নিন: কাস্টমারের মতামত গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।
- গুণগত মান বজায় রাখুন: প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মান বজায় রাখুন।
সময়মত ডেলিভারি
কাস্টমারের সন্তুষ্টির জন্য সময়মত ডেলিভারি অপরিহার্য। সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করতে:
- ডেডলাইন মেনে চলুন: প্রতিটি অর্ডারের ডেডলাইন মেনে চলুন।
- প্রাথমিক ডেলিভারি: প্রাথমিক ডেলিভারি দিয়ে কাস্টমারের ফিডব্যাক নিন।
- যোগাযোগ রাখুন: ডেলিভারির সময় নিয়ে কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
এই নির্দেশনাগুলি মেনে চললে, আপনার Fiverr প্রোফাইল হবে আরও শক্তিশালী এবং কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করবে।
পেমেন্ট এবং রেটিং
Fiverr একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন। পেমেন্ট এবং রেটিং এই প্ল্যাটফর্মে সাফল্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। এখানে আমরা Fiverr এর পেমেন্ট সিস্টেম এবং রেটিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
পেমেন্ট সিস্টেম
Fiverr এ কাজ সম্পন্ন করার পর, আপনি আপনার পেমেন্ট সহজেই পেতে পারেন। এখানে কিভাবে পেমেন্ট সিস্টেম কাজ করে তা উল্লেখ করা হলো:
- অর্ডার সম্পন্ন: আপনি যখন একটি অর্ডার সম্পন্ন করেন, তখন ক্লায়েন্ট সেটি রিভিউ করবে।
- রিভিউ এবং অনুমোদন: ক্লায়েন্ট অর্ডারটি অনুমোদন করলে, আপনার অর্থ Fiverr অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
- উত্তোলন: অর্থ উত্তোলনের জন্য আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া অর্থ উত্তোলন করতে পারেন PayPal, ব্যাংক ট্রান্সফার, বা Fiverr Revenue Card এর মাধ্যমে।
রেটিংয়ের গুরুত্ব
Fiverr এ রেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আরও বেশি কাজ পেতে সাহায্য করে। উচ্চ রেটিং মানে আপনার কাজের গুণগত মান ভালো। এটি ক্লায়েন্টদের আস্থা বাড়ায়।
রেটিং বাড়ানোর কিছু টিপস:
- গুণগত কাজ: সবসময় সঠিক এবং গুণগত মানের কাজ প্রদান করুন।
- সময়মতো ডেলিভারি: সময়মতো কাজ ডেলিভারি করুন।
- ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ: ক্লায়েন্টদের সাথে পরিষ্কার এবং সময়মতো যোগাযোগ বজায় রাখুন।
Fiverr এ পেমেন্ট এবং রেটিং সঠিকভাবে পরিচালনা করলে, আপনি সহজেই সফল হতে পারেন।
সফলতার টিপস
Fiverr থেকে আয় করার জন্য কিছু সফলতার টিপস জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুনদের জন্য এই টিপসগুলো খুবই উপকারী হতে পারে। সঠিক টিপস মেনে চললে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
উপদেশ
- প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করুন: আপনার প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় এবং পেশাদার রাখুন। একটি ভালো প্রোফাইল ছবি এবং বিস্তারিত বিবরণ দিন।
- পোর্টফোলিও আপলোড করুন: আপনার কাজের নমুনা পোর্টফোলিওতে আপলোড করুন। এটি আপনাকে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করবে।
- কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার গিগ বিবরণে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এটি সার্চ রেজাল্টে আপনার গিগকে উচ্চ স্থানে রাখবে।
- ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করুন: ক্লায়েন্টের সাথে সবসময় ভালো যোগাযোগ রাখুন। তাদের প্রশ্নের দ্রুত এবং স্পষ্ট উত্তর দিন।
অভিজ্ঞতা শেয়ারিং
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের শেখার এবং উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।
- ফোরাম এবং গ্রুপে যোগ দিন: বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার ফোরাম এবং গ্রুপে যোগ দিন। এখানে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের অভিজ্ঞতা জানুন।
- ব্লগ পড়ুন: অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের ব্লগ পড়ুন। তাদের সফলতার গল্প এবং টিপস থেকে শিখুন।
- ওয়েবিনার এবং ওয়ার্কশপে অংশ নিন: বিভিন্ন ওয়েবিনার এবং ওয়ার্কশপে অংশ নিন। এখানে আপনি সরাসরি বিশেষজ্ঞদের থেকে শিখতে পারবেন।
Frequently Asked Questions
Fiverr থেকে আয় করা যায় কিভাবে?
Fiverr থেকে আয় করার জন্য প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। তারপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গিগ তৈরি করুন। ক্লায়েন্টরা আপনার গিগ কিনলে আপনি আয় করতে পারবেন।
Fiverr অ্যাকাউন্ট কিভাবে তৈরি করবেন?
Fiverr অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে প্রথমে Fiverr ওয়েবসাইটে যান। এরপর Sign Up বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ইমেইল ঠিকানা, ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়?
Fiverr এ গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, এসইও, ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
Fiverr এ গিগ তৈরি করবেন কিভাবে?
Fiverr এ গিগ তৈরি করতে ড্যাশবোর্ড থেকে ‘Create a New Gig’ বাটনে ক্লিক করুন। আপনার সার্ভিসের বিবরণ, মূল্য এবং ডেলিভারি সময় নির্ধারণ করুন।
Conclusion
ফাইভার থেকে আয় করা সহজ ও সুবিধাজনক। প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর নিজের স্কিল অনুযায়ী কাজ খুঁজুন। ফাইভারে লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ নানা কাজ পাওয়া যায়। ধৈর্য ধরে কাজ করলে ভালো আয় সম্ভব। সফল হতে হলে নিয়মিত কাজ করুন। ভালো রিভিউ পেতে ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট করুন। ফাইভার সফলতার জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। শেখার ইচ্ছা থাকলে সফলতা আসবেই।