এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত

বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে এমপিও (মাসিক পেমেন্ট অর্ডার) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে বেতন পান। তবে এই বেতন কত, কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে এবং কীভাবে তা নির্ধারিত হয়, সে সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বিশাল অংশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছানো কঠিন, সেখানে এই শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কত

বর্তমানে বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সরকার নির্ধারিত জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে প্রদান করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী, শিক্ষকদের বেতন শ্রেণি ও পদভেদে নির্ধারিত হয়। নিচে উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং কলেজ শিক্ষকদের বেতন কত তার একটি ধারণা দেওয়া হলো:

এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন

যাদের প্রতিষ্ঠান সবেমাত্র এমপিও ভুক্ত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে একটি উচ্চ বিদ্যালয় সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মত শিক্ষকদের প্রাথমিক বেতন কত টাকা হবে সেটা এখন আমরা আপনাদের জানাবো।  যারা উচ্চ বিদ্যালয় কর্মরত শিক্ষক আছেন তাদের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডে বেতন প্রদান করা হবে।

তারা মূলত দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সম্মানিত হবেন এবং অবশ্যই জাতীয় বেতন স্কেল ও গ্রেড অনুসারে তার বেতন শুরু হবে ১৬০০০ টাকা থেকে। তার বয়স এবং তার সঙ্গে আরো ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হতে হতে এই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হতে পারে ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা।

যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে উচ্চমাধ্যমিক ভিতরে কর্মরত আছেন তাদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হবে ১১ তম গ্রেড হিসাবে এবং তাদের বেতন শুরু হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে তাদের ৩০২৩০ টাকা।

এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের বেতন 

এখন আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব এমপিও ভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের বিভিন্ন পদ অনুযায়ী বা যোগ্যতা অনুযায়ী কত টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন যে বেতন স্কেল প্রদান করা হয়েছে সেখানে এমপি ভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষের বেতন হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এবং যারা সহকারী অধ্যক্ষ আছে তাদের বেতন হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা যেটা ষষ্ঠ গ্রেডের বেতন।

See also  আরিয়ান নামের অর্থ কি? (আরবি, বাংলা, ইসলামিক, ফারসি অর্থ জানুন)

এছাড়াও যারা প্রভাষক হিসাবে একটি কলেজে কর্মরত আছেন তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ২২ হাজার টাকা। এখানে এই বেতন গুলো একেবারেই মূল বেতন এবং এই মূল বেতনের সঙ্গে কিছু ভাতা সংযুক্ত হবে। তবে অবশ্যই প্রতি বছরে শিক্ষকদের একটি করে ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হয় যার ফলে বেতন বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি হয় এবং পদোন্নতি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বেতন গ্রেড উন্নত হয় এবং তিনি নতুন গ্রেডে বেতন পান। স্বাভাবিক ভাষায় আমরা বলতে পারি একজন এমপিও ভুক্ত কলেজের শিক্ষক এর সর্বনিম্ন বেতন শুরু হচ্ছে ২২ হাজার টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

আরো দেখে নিনঃ চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন লেখার নিয়ম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন স্কেল ২০২৫

২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বেতন স্কেল অনুযায়ী, একজন শিক্ষকের মূল বেতন শুরু হয় ১৬,০০০ টাকা থেকে এবং তা সর্বোচ্চ ৩৮,৬৪০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক বেতন শুরু হয় ১২,৫০০ টাকা থেকে। তাদের বেতন স্কেল হলো ১২,৫০০ থেকে ৩০,২৩০ টাকা পর্যন্ত।

এমপিও সহকারী শিক্ষক বেতন ও ভাতা ২০২৫ 

  • মূল বেতন ১৩,৭১০ টাকা।
  • বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা।
  • চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা।
  • শিক্ষা ভাতা ১০০০ টাকা (দুই সন্তানের জন্য)।
  • বিশেষ সুবিধা ১৫% হারে ২০৫৬ টাকা।
  • কল্যাণ চাঁদা (কর্তন) ৫৪৮ টাকা। ৪% হারে।
  • অবসর সুবিধা (কর্তন) ৮২৩ টাকা। ৬% হারে।
  • মোট ব্যাংক হিসাবে নীট বেতন প্রাপ্তি ১৬,৮৯৫ টাকা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব এবং নববর্ষ ভাতা

উৎসব ভাতা: বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতা নিয়ে এখনো কিছুটা বৈষম্য রয়েছে। বর্তমানে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের মূল বেতনের ২৫% এবং কর্মচারীরা ৫০% হারে উৎসব ভাতা পান।

অন্যদিকে, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী শতভাগ উৎসব ভাতা পান। এই পার্থক্যটি স্পষ্ট করে দেখায় যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা অন্যান্য খাতের কর্মীদের তুলনায় কম সুবিধা পান।

বাংলা নববর্ষ ভাতা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও বাংলা নববর্ষের জন্য বিশেষ ভাতা পান। এই ভাতা হিসেবে তারা মূল বেতনের ২০% পেয়ে থাকেন, যা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য।

See also  জিপিএফ ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম - GPF balance check

উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষকের মূল বেতন যদি ৮,২৫০ টাকা হয়, তাহলে তিনি নববর্ষ ভাতা হিসেবে বছরে একবার ১,৬৫০ টাকা পাবেন। আবার, যার মূল বেতন ৭১,২০০ টাকা, তিনি একই ভাতা হিসেবে ১৪,২৪০ টাকা পাবেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শুধু বেতনই পান না, এর পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ-সুবিধাও উপভোগ করেন।

  • নির্ধারিত মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসেবে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়।
  • চিকিৎসা সুবিধার জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ।
  • বছরে দুইবার উৎসব ভাতা (মূল বেতনের সমান পরিমাণ)।
  • চাকরি জীবন শেষ হওয়ার পর অবসর ভাতা ও পেনশন সুবিধা দেওয়া হয়।

বেতন নির্ধারণে পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন স্কেল পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। শিক্ষকরা বেতন কাঠামো আরও উন্নত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশেষত, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বেতনের সমতা আনয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশে শিক্ষকদের জন্য এমপিও ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেও, এই ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ এবং আলোচনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর জন্য নানা দাবি উঠেছে।

বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব এবং সাম্প্রতিক আলোচনায় দেখা গেছে শিক্ষকরা সাধারণত নিম্নোক্ত কারণে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করেন:

  • মুদ্রাস্ফীতি: সময়ের সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক বেড়ে যায়, কিন্তু শিক্ষকদের বেতন সেভাবে বাড়ে না। ফলে, তাদের আর্থিক চাপ বেড়ে যায়।
  • পেশাগত মর্যাদা: সরকারি কর্মকর্তাদের তুলনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন কম। এর ফলে তারা মনে করেন যে সমাজে তাদের পেশাগত মর্যাদা কমে যাচ্ছে।
  • দৈনিক খরচ: শহরাঞ্চলে বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ অনেক বেশি। কিন্তু সে তুলনায় শিক্ষকদের বর্তমান বেতন যথেষ্ট নয়, যা তাদের জন্য জীবনযাপন কঠিন করে তোলে।

সরকারের পদক্ষেপ

সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন:

  • সর্বশেষ বেতন স্কেল বাস্তবায়ন: জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
  • এমপিও নীতিমালা সংশোধন: নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে।
  • ভাতা বৃদ্ধি: চিকিৎসা ও গৃহ ভাড়ার হার বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ

  • বাজেট ঘাটতি: সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর জন্য বাজেট বরাদ্দ করলেও অনেক সময় তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট হয় না।
  • প্রশিক্ষণের অভাব: অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষক নতুন বা আধুনিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। তাই তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হলে বেতন কাঠামোকে আরও আধুনিক করা দরকার।
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা: এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মীদের মতো অনেক বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রায়ই থাকে না।
See also  আব্দুল্লাহ নামের অর্থ কি? (ইসলামিক, আরবি বাংলা) Abdullah name meaning

বাংলাদেশের শিক্ষার মান বাড়াতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং পেশাগত সম্মান নিশ্চিত করতে সরকারের আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। শিক্ষকদের জন্য একটি উন্নত বেতন কাঠামো শুধু তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াবে না, বরং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানও অনেক উন্নত করবে।

নতুন এমপিও নীতিমালা

২০২৩ সালে সরকার নতুন এমপিও নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেছে। এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাকরির মেয়াদ: নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরির মেয়াদ সংক্রান্ত শর্তগুলো আরও কঠোর করা হয়েছে।
  • বেতন গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট: শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এবং বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট নিয়ে নতুন কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা তাদের আর্থিক সুবিধা প্রভাবিত করবে।
  • পদোন্নতির নিয়ম: পদোন্নতির ক্ষেত্রে নতুন নিয়মগুলো দক্ষতা ও যোগ্যতাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)

প্রশ্ন ১: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন গ্রেড কত থেকে শুরু হয়?

সাধারণত, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নবম গ্রেড থেকে শুরু হয়, যার মূল বেতন ২২,০০০ টাকা।

প্রশ্ন ২: একজন সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন কত?

একজন সহকারী শিক্ষক (বিএড ডিগ্রিধারী) দশম গ্রেডে বেতন পান, যার মূল বেতন ১৬,০০০ টাকা।

প্রশ্ন ৩: এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পান?

হ্যাঁ, সরকারি নিয়মানুযায়ী তারাও প্রতি বছর মূল বেতনের ৫% হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পান।

প্রশ্ন ৪: শিক্ষকরা কি বাড়ি ভাড়া ভাতা পান?

শিক্ষকরা তাদের পদের গ্রেড অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ভাতা পান। তবে, সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় এর পরিমাণ সাধারণত কম হয়।

প্রশ্ন ৫: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা কত?

বর্তমানে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।

প্রশ্ন ৬: এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকের কী কী যোগ্যতা লাগে?

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতসহ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা বা মানবিক বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এর পাশাপাশি বিএড ডিগ্রি অথবা এর সমমানের কোনো প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যক।

লেখকের শেষ মতামত

শিক্ষকরা একটি জাতির মেরুদণ্ড। তাদের আর্থিক নিরাপত্তা, পেশাগত উন্নয়ন এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি সম্ভব। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত হওয়ায় এটি নির্ভরযোগ্য হলেও, অনেক শিক্ষক আরও ভালো সুযোগ-সুবিধার আশা করেন। জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধির দাবিটি যথেষ্ট যৌক্তিক। শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন কাঠামো নিশ্চিত করা শিক্ষা খাতের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *